নিধুর টাক


টাক নিয়ে নিধুবাবু আছে বড় দুক্ষে
রোজ বসে পুঁজো করে করো গো মা রক্ষে
এই বেলা চকচকে টাক নিয়ে কষ্ট
প্রহসনে নিধুদা'র সুখ হল নষ্ট।
বাপ মা'র দেয়া নাম নিধুবাবু হারিয়ে
বেলুবাবু নামে পরিচিতি গেছে ছাড়িয়ে।
আজকাল শিশুগুলো শিশু নয় দস্যি
দেখলেই হেঁকে কয় বেলু দাদা নস্যি!


গাছের ছায়ার তলে রেখে নিজ খাটিয়া
নিধুবাবু আনমনে পিঠ দিলো পাতিয়া।
শীতল বাতাস পেয়ে দেহ মন শান্ত
গজব যে বাকি ছিল নিধু কি তা জানতো!
ভুলো মনে বেল তলে পেতেছিল খাটিয়া
আচমকা বেল পড়ে মাথা গেল ফাটিয়া।
প্রকৃতিও টাক নিয়ে করে তাকে ব্যঙ্গ
কেউ কি দেবেনা হায় নিধুদা'র সঙ্গ।

রসের হাঁড়িটি মাথে নিধুদা চলিছে হাটে
কাদায় পিছলে পড়ে চলা হল পণ্ড
রসে টাক মাখা মাখি সে কি এক কাণ্ড!
কোথা হতে ভুলু নেড়ি আসিলো যে ছুটিয়া
রসে মাখা নিধুদা'র টাক দিলো চাটিয়া।


ছাতা দিয়ে টাক ঢেকে নিধুদা চলিছে হেঁটে
বৈদ্যর কাছে যাবে পিলের ব্যথা যে পেটে
আচমকা শুরু হওয়া ঝড়ো হাওয়া বাতাসে
নিধুদা'র ছাতাখানি উড়ে গেলো আকাশে।
মুহূর্তে শুরু হল ঝম ঝম বৃষ্টি
তার সাথে শীল পড়া একি অনাসৃষ্টি।

সকালে স্নানের পর উঠোনেতে বসিয়া
টাক মাথে তেল মাখে নিধুবাবু কষিয়া
টুপ করে কি পড়িল নিধু করে হা হা
দাঁড়কাক ডেকে কয় নিধুবাবু কা কা।

গাঁয়েতে গানের পালা সারা রাত জাগিয়া
খবর শুনেই নিধু গেলো সেথা ভাগিয়া
আমচুর মুখ করে বসে ছিল লোক সব
নিধুকে দেখেই একসাথে জোড়ে কলরব
গানের দলের ঢুলী আনিতে ভুলেছে ঢাক
ঢাকের বদলে তাই নিধুর এ ফাঁকা টাক।
নিধুর মাথার টাক, টাক নয় বিভীষণ
পদে পদে হর রোজ করে তাকে প্রহসন।

No comments:

Post a Comment